ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মহাসড়কে পুলিশের নজরদারি জোরদার 

কক্সবাজার থেকে ছাড়লো দূরপাল্লার বাস

কক্সবাজার থেকে ছাড়লো দূরপাল্লার বাস

বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের প্রভাব পড়েনি কক্সবাজারে। হরতালে নাশকতা ঠেকাতে রোববার সকাল থেকে কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্ট ও মহাসড়কে সতর্ক অবস্থায় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ফলে, সড়কে হরতালের তেমন কোন প্রভাব নেই বললে চলে। প্রায় প্রতিটি সড়কেই ভারি যানবাহন ছাড়া সবধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। নিত্যদিনের মতোই স্বাভাবিক চলছে আদালতের কার্যক্রম।

গতকাল সন্ধ্যায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, সকাল-সন্ধ্যা হরতালের প্রভাব কক্সবাজারে পড়েনি। প্রতিদিনের মতো কক্সবাজার থেকে দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন স্বাভাবিক ভাবে চলছে।

তিনি আরো বলেন, রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী সকল পরিবহন চলাচল অব্যাহত থাকবে। ট্রাফিকসহ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সড়ক-মহাসড়কে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজারের চকরিয়া চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ খোকন কান্তি রুদ্র জানান, হরতালে সরকারি সম্পত্তি, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক চলাচল বজায় রাখতে কক্সবাজার মহাসড়কে সতর্ক অবস্থান রয়েছে। পুলিশের পৃথক দুইটি টিম মাঠে দায়িত্বপালন করছে।

তিনি আরো বলেন, দিনভর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বিকেল সাড়ে ৪ টার থেকে সকল যানবাহন চলাচল শুরু হয়। রাতের আধারে কেউ যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা সংগঠিত করতে না পারে, তার জন্য মহাসড়কে কঠোর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে গত শনিবার বিএনপির সমাবেশ থেকে ঘোষণা আসে রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল-সন্ধ্যা দেশব্যাপী হরতাল। সারাদেশের মতো শনিবার সন্ধ্যায় হরতালের বিপক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন এবং হরতালের পক্ষে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠন মিছিল করে। অনেক সড়কে টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভও দেখায় বিএনপি সমর্থকরা। বিএনপির হরতালকে সমর্থন দেয় নিবন্ধন বাতিল করা সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলগুলো।

পূর্ব ঘোষণা মতে, হরতালে রবিবার মাঠে নামার কথা থাকলেও কক্সবাজার সদর ও অন্যান্য উপজেলা সমূহের কোথাও পিকেটিংয়ে নেই বিএনপি-জামায়তের নেতা-কর্মীরা। সড়কে বিএনপি-জামায়াতের কেউ না থাকলেও অবস্থান নিয়েছে কক্সবাজার জেলা, পৌর আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শহরের বিভিন্ন মোডে মোডে তাদের অবস্থান চোখে পড়ার মতো ছিল। সড়কে যানবাহন নিয়ে বের হওয়া ক্ষুদ্রযানের চালকরা জানান, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া-ঈদগাঁও-রামু-উখিয়া-টেকনাফ ও কক্সবাজার সদরের কোথাও কোন পিকেটিং বা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা দলগুলোর নেতাকর্মীদের অবস্থান চোখে পড়েনি। যাত্রী নিয়ে চলাচলের সময় কোথাও কোন বাধার মুখে পড়তে হয়নি। তবে, শনিবার রাজধানীতে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানোর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় দেখেছি- তাই আমাদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান বলেন, দিনভর মহাসড়কসহ জেলা জুড়ে পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশ টিম সতর্ক অবস্থান ছিল। মাঠে রয়েছে র্যাবের কয়েকটি টিমও। কোথাও কোন সহিংসা হয়নি।

বাস,কক্সবাজার,পুলিশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত